রমিত সরকার, অজানা বাংলা, নদীয়া: নতুন বছরের শুরুতেই ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কেউ যখন হয় হুল্লোড়, আড্ডা, পিকনিক করার মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে বছরকে বরণ করছে মানুষ। ঠিক তখনই নদিয়ার এক দল যুবক তাদের ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরে নিজেদের জীবন শুরু করলো। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ওই যুবকেরা স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য। জানা গেছে কৃষ্ণনগরের নবমাতার উদ্যোগে নতুন বছরের দিন শনিবার রাতে প্রসাদ বিতরণ করা হলো কৃষ্ণনগর স্টেশনে। এদিন তাদের পক্ষ থেকে কৃষ্ণ নগর স্টেশনে বসবাসকারী ভবঘুরেদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অন্ন।
প্রসঙ্গত এখন বাংলায় চলছে পৌষ মাস, আর সেই পৌষ মাসেই কালি পূজায় মেতে ওঠে নদিয়ার জেলা শহর কৃষ্ণ নগর, মূলত পৌষ কালি নামেই পুঁজিতা হন দেবী। আর সেই পৌষ মাসের প্রতি শনি এবং মঙ্গল বার দেবী কালী এখানে পৌষ কালী রূপে পুঁজিতা হন কৃষ্ণ নগরের বহু মণ্ডপে।
ঠিক তেমনি নতুন বছরের শুরুর দিনেই নদীয়া জেলার কৃষ্ণ নগরের কায়স্থ পাড়া বারোয়ারী নব মাতার উদ্যোগে পৌষ কালী পুজোর আয়োজন হয়। আর তাদের সেই বারোয়ারি কালি পূজা কমিটির উদ্যোগে শনি বার রাতে আয়োজন করা হয় এক অন্নকূট ভোগের। আর সেই ভোগই তারা বিতরণ করেন কৃষ্ণনগর স্টেশনের মধ্যে বসবাস করি ভবঘুড়েদের হাতে।
শনিবার রাতে তারা অন্নকুটে রান্না করা খিচুড়ি নিয়ে হাজির হয় কৃষ্ণ নগর স্টেশনে। সেখানে তারা সেই সময় স্টেশনে রাত কাটানো দুঃস্থ মানুষের পাশাপাশি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের যাত্রীদের হাতে তুলে দেয় রান্না করা ভোগ।
এদিকে শীতের রাতে রান্না করা খাবার পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি ওই সমস্ত অসহায় দুঃস্থ মানুষ গুলিও। আর এবিষয়েই এদিন ওই পূজা কমিটির সদস্যরা জানান, অসহায় এই মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদেরকে একটু আনন্দিত লাগছে। কারণ এই শীতের রাতে কৃষ্ণনগর স্টেশনে বসবাসকারী এই সমস্ত অসহায় মানুষ গুলির মধ্যে অনেকেই রয়েছে অভুক্ত অবস্থায়। আর তাই ভাবলাম যদি তাদের জন্য কিছু করতে পারি। আর সেখান থেকেই আমাদের এমন উদ্যোগ।
এদিকে কৃষ্ণনগর কায়স্থ পাড়া বারোয়ারী নবমাতার এহেন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ওই এলাকার বহু সমাজসেবী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষেরাও। পাশাপাশি তাদের কাজেও খুশি সকলে