BREAKING

Wednesday, 26 January 2022

Republic Day : উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের "কবিগুরু আপন সংঘ" উৎযাপিত করলো প্রজাতন্ত্র দিবস


ডেস্ক রিপোর্ট, অজানা বাংলা, উলুবেড়িয়া, আমার কলম : আজ, ২৬ শে জানুয়ারি, ভারতবর্ষের ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবস। আর এই প্রজাতন্ত্র দিবস দিনটি সারা দেশে পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সহিত পালিত হচ্ছে। 

গ্রামীণ হাওড়ার বাউড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই জাতীয় দিনটি উৎযাপিত করা হচ্ছে। এদিন উলুবেড়িয়া পৌরসভার অন্তর্গত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বউলখালী পাড়ায় অবস্থিত "কবিগুরু আপন সংঘ" এর উদ্যোগে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হলো। এই "কবিগুরু আপন সংঘ"  এলাকার নানান উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর তাদের সামাজিক ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজে সবরকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন গ্রামীণ হাওড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী ডডি সুদর্শন মূর্তি (ন্যাশনাল ডাইরেক্টর অফ নর্থ পয়েন্ট কমিউনিটি ইন্ডিয়া) ও  বিশিষ্ট সমাজসেবী ডেভিড রাও। 
আর এদিনের এই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী ডডি সুদর্শন মূর্তি  জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর বিশিষ্ট সমাজসেবী ডেভিড রাও শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। এরপর উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথি ও সদস্যরা প্রত্যেক একে একে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 
এদিনের এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী ডেভিড রাও ওনার বক্তব্যে বলেন,  আমাদের দেশের সন্তান ডঃ বি আর আম্বেদকর আমাদের দেশের সংবিধানের রচয়িতা। তিনি আমাদের দেশের সংবিধান রচনা করেছিলেন ১৯৪৯ সালের ২৬ শে নভেম্বর। আর তার দু'মাস পর সেই সংবিধান গ্রহণ যোগ্যতা পায় ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি। আর তাই এই দিনটিকে আমার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাথে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করে থাকি। আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। যাতে তার এই দিনটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। ডঃ বি আর আম্বেদকর আমাদের সংবিধানের মাধ্যমে আমাদের দেশের নারীদের সম্মান ও অধিকারকে সুরক্ষিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করেছেন। যে কোনো দেশের সংবিধান সেই দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই আমাদের প্রত্যেককে দেশের নাগরিক হিসাবে আমদের দেশের সংবিধানকে ও জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে হবে। আমাদের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা, সেই মতোই আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। আর আমাদের ক্লাব "কবিগুরু আপন সংঘ" সব সময় সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আমরা ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যরা যে কোনো সিদ্ধান্ত সবাই মিলিত ভাবে নিয়ে থাকি। 
আজকের এই অনুষ্ঠানে এক ক্ষুদে শিল্পী দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানের শেষ করে।