নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের টানা পোড়েনের জেরে ঘুটঘুটে অন্ধকার গ্রামের কয়েক কিলমিটার রাস্তা। সন্ধ্যা নামলেই ওই রাস্তা দিয়ে যাতয়াত করতে ভয় পায় পথ চলতি মানুষ থেকে সাধারণ মানুষ। জানা যাচ্ছে উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেষ অংশ ও পাঁচলা ব্লকের চরা পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগ স্থল পশ্চিম রঘুদেবপুর থেকে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর যাবার মাঝে শ্মশান সংলগ্ন এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই রাস্তা সন্ধ্যার পর থাকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর সেই অন্ধকার রাস্তা দিয়েই যাতয়াত করতে হয় স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি অন্ধকার রাস্তা দিয়ে ফিরতে ভয় পায় স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।
এদিকে রাস্তা অন্ধকার প্রসঙ্গে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকরী স্থানীয় মানুষেরা জানায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক বার লাগানো হয় রাস্তার আলো। কিন্তু তা বার বার ভেঙে দেয় কে বা কারা। পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি বহু বার পঞ্চায়েতকে বলেও হয়নি রাস্তায় আলোর ব্যাবস্থা। ফলে সন্ধ্যা নামার পর তাদের এই রাস্তা দিয়ে চলফেরা করতে চরম সমস্যা হয়। পাশাপাশি তারা আরও বলেন, সন্ধ্যা নামার পর এই রাস্তা দিয়ে চলফেরা করতে গেলে ভয় থাকে চুরি ছিনতাইয়ের। তাই স্থানীয় দুই পঞ্চায়েত রঘুদেবপুর ও চরা পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি রাস্তায় আলো লাগানোর ব্যাবস্থা করুক দুই পঞ্চায়েত প্রশাসন।
এদিকে রাস্তা অন্ধকার প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শেখ জুবের আলম বলেন, ওই রাস্তাটি উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাঁচলা বিধানসভার চরা পাঁচলা গ্রাম পঞ্চয়েতের মধ্যে পড়ে তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন পাঁচলা ব্লকের চরা পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তাদের সঙ্গে। এবং দ্রুত রাস্তায় আলো লাগানোর ব্যাবস্থা করবেন। অন্যদের এই রাস্তা প্রসঙ্গে পাঁচলার চরা পাঁচলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হেমন্ত রায় বলেন, ওই রাস্তাটি স্মাশান সংলগ্ন ও দুই বিধানসভার দুই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। তিনি বলেন, রাস্তার বিষয়টি তিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন তাদের বিধায়ককে। এবং ওই রাস্তায় একটি হাই মাস্ক আলো যাতে লাগানো যায় তারও ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিধায়কের কাছে।
এ খন দেখার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের টানা পোড়েনে কবে ওই অন্ধকার রাস্তায় আলো লাগানোর ব্যাবস্থা করে প্রশাসন। আর কবে অন্ধকার জন্তনার হাত থেকে মুক্তি পায় পথ চলতি মানুষ।