নিজেস্ব প্রতিবেদন, উলুবেড়িয়া: মঙ্গলবার সকালে বাগনানের চন্দ্রপুরে দামোদর নদীর ধারে স্থানীয় যুবক বাবাই মারিক দেখতে পায় কিছু সাপুড়ে সাপ নিয়ে নদীর ধারে তাঁবু খাটিয়ে আছে। এই ঘটনা দেখে বাবাই যোগাযোগ করে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিকের সঙ্গে। আর এই খবর শোনা মাত্রই চিত্রক প্রামানিক, সুমন পাঠক ও তিতাস প্রধান যায় ওই এলাকায়। এবং সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় প্রায় ১১ জন মিলে বসবাস করছে ওই তাঁবুতে। পাশাপাশি তাদের কাছে তারা দেখতে পায় দুটি অজগর বা ইন্ডিয়ান রক পাইথন সাপ।
এর পরেই তারা উদ্ধার করে ওই দুটি পাইথনকে এবং তারা তল্লাশি চালিয়ে ওই তাঁবুতে থাকা লোকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র ও পাখি ধরার ফাঁদ উদ্ধার হয়। এদিকে জানা যায় ওই সাপুড়েরা মূলত উড়িষ্যা থেকে এসেছে। শুধু তাই নয় বেশকিছু ধরে বনয়প্রাণ সংরক্ষণকারীদের কাছে খবর ছিলো এলাকায় বেশ কিছু সাপুড়ে সাপ দেখিয়ে, সেই সাপকে স্পর্শ করিয়ে, নানা ধরনের ঔষধ দেবার নাম করে মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে তাদের থেকে আদায় করছে টাকা। এদিকে মঙ্গলবার সকালে এঘটনা সামনে আসতেই প্রাণী প্রেমীরা খবর দেয় বন দপ্তরের সঙ্গে। পরে সাপুড়ে ও সাপগুলি কে তারা তুলে দেয় বন বিভাগের হেফাজতে।
এদিকে ইন্ডিয়ান রক পাইথন ১৯৭২ ভারতীয় বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংরক্ষণের আওতায় তফসিলি-১ এর অন্তর্ভুক্ত। সাপুড়েরা যেভাবে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে ও কুসংস্কার ছড়ায়, এর ফল মারাত্মক। এদিকে এখবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় বন দপ্তরের আধিকারিকরা তারাই ওই পাইথন দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গেছে আপাতত ওই পাইথন দুটিকে গরচুমুক মিনি জুতে রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। পরে তা ছেড়ে দেওয়া হবে মুক্ত পরিবেশে। এদিকে সাপ রাখার অপরাধে সাপুড়েদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ। এমনটি খবর বনদপ্তর সূত্রে।