নিজস্ব সংবাদদাতা,উলুবেড়িয়া: সামান্য দুটি নারকেল নিয়ে বিবাদ, আর তার জেরই, পাঁচলায় যুবককে বেধড়ক মারধর প্রতিবেশীদের। আর সেই ঘটনার জেরে প্রাণ গেল এক যুবকের। এমনি মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা থানার অন্তর্গত পাঁচলার বনহরিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লায়েক পাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এঘটনায় মৃত ওই যুবকের নাম ইরশাদ আলি মন্ডল। তার পরিবারের অভিযোগ ঘটনার দিন কয়েক আগে দুটি নারকেল পাড়া নিয়ে বিবাদ হয় দুই পরিবারের মধ্যে। আর এর পর গত ১৩ ই নভেম্বর ভোর বেলায় বাড়ির সামনে থেকে ইরশাদকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
আর সেই সময় ইরশাদকে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর করে অভিযুক্তরা, এমনি অভিযোগ ইরশাদের পরিবারের। এদিকে ইরশাদকে বাঁচাতে গেলে ইরশাদের ভাই ও বাবাকেও ব্যাপক মারধর করে অভিযুক্তরা। মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে ইরশাদের বাবা ও ভাইয়ের। পরে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচলার গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাদের স্থানান্তরিত করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে ইরশাদের অবস্থার আরও অবণতি ঘটায় তাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কোলকাতায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে সেখান থেকে ইরশাদকে ভর্তি করা কোলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
সেখানেই কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় ইরশাদ এমনটাই অভিযোগ তার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।আর সেখানেই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় ইরশাদের। এদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তার মাথায় গুরুতর চোট লাগার কারণেই মৃত্যু হয় ইরশাদের। এদিকে এঘটনার পর মৃত যুবকের পরিবারের তরফে ওই এলাকার বাসিন্দা সেখ সামাদ আলি, সেখ মেহেতার আলি, সেখ সামাদ আলি, সেখ রাকিব, সেখ নূর ইসলাম, সেখ রেজাউল, সেখ বাবলু ও সেখ মহরম আলির বিরুদ্ধে পাঁচলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েক করা হয়। আর সেই অভিযোগের পরেই পাঁচলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত শেখ রাকিব ও শেখ মেহতাব আলীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তরা এখনো অধরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর শনিবার সন্ধ্যায় ইরশাদের দেহ তার বাড়ি পাঁচলার বনহরিশপুর লায়েক পাড়ায় এলে শোকে ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা। বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে থাকে আশে পাশের গ্রামের বাসিন্দারাও। তাদের সকলের একটাই দাবি ইরশাদের হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিক প্রশাসন।