অভিজিৎ ব্যানার্জী, উলুবেড়িয়া: ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। আর এই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে পাঁচলা থেকে বাউড়িয়া স্টেশন যাবার দীর্ঘ চার কিলোমিটার লম্বা ডোমজুর রোড। আর এই রাস্তার দুই পাশে ছিল বেশকিছু শতাব্দী প্রাচীন পুরানো মৃত গাছ। আর মাঝে মাঝেই প্রায়শই সেই গাছের ডাল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তো রাস্তার উপর। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারতো। তাই সেই দুর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার উদ্যোগী হলো উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।
এদিন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পুলিশ, বিদ্যুৎ দপ্তর ও পি ডব্লু ডির সহযোগিতায় সকাল থেকেই বাউড়িয়ার কেটুয়াপোলে শুরু হয় এই প্রাচীন মৃত গাছ গুলি কাটার কাজ। এদিকে রাস্তার ধারে থাকা এই গাছ গুলি কাঁটার সময় যাতে পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে সাধারণ যাত্রীদের কোন সমস্যা না হয় সে জন্য এদিন সকাল থেকেই বাউড়িয়ার কেটুয়াপোলে মোতায়েন ছিলো বাউড়িয়া থানার পুলিশ কর্মীরা। আর এদিনের গাছ কাটার এই কাজ স্বরজমিনে খতিয়ে দেখতে কেটুয়াপোলে উপস্থিত ছিলেন রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শেখ জুবের আলম ওই পঞ্চায়েতের অন্যতম সঞ্চালক পলাশ দাশ সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
আর শতাব্দী প্রাচীন মৃত এই গাছ গুলি কাটার প্রসঙ্গে উপ প্রধান শেখ জুবের আলম বলেন, আমফান পরবর্তী সময়ে কেটুয়াপোল সংলগ্ন এই গাছ গুলির বেশ কয়েক বার ওই গাছ গুলির দল রাস্তায় ভেঙে পড়ে। তখন সাময়িক ভাবে রাস্তার উপরে ঝুলে থাকা বেশ কয়েকটি দল কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু অশনির সময় পঞ্চায়েত দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রশাসনিক বৈঠক সেই বৈঠকেই ঠিক হয় এই গাছ গুলি কেটে ফেলার। কিন্তু এই গাছ গুলি ছিল পি ডাব্লু ডির অধীনস্থ। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলেই এদিন সকাল থেকে শুরু হয় এই গাছ কাটার কাজ। কিন্তু আজ সমস্ত কাটার কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে আগামী সোমবার বাকি গাছ গুলি কাটা হবে বলে জানান তিনি।