নিজেস্ব সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: গত শুক্রবার রাতে হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিস খাঁনকে তার বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ছদ্যবেশে আশা পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এর পর থেকেই আনিসের মৃত্যু নিয়ে দানা বাধে নানান রহস্য।
আর এঘটনার জেরে ইতিমধ্যে আনিসের মৃত্যুর পিছনে পুলিশের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন মৃত আনিসের পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত আনিস খাঁন বর্তমানে কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। বাগনান কলেজে পড়াশোনার সুবাদে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় আনিস। পরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় সে যুক্ত হয় এনআরসি আন্দোললে।
আর এরই মাঝে আনিসের এমন রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। এদিকে আনিদের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি রবিবার বিকালে আমতা থানা ঘেরাও করে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এদিন আমতার কলাতলা থেকে মিছিল করে গিয়ে আমতা থানা ঘেরাও করে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
আর এই ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরেই উত্তাল হয়ে ওঠে আমতা থানা চত্বর। পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে আমতা থানার সামনে পুলিশের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। কিন্তু সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্র যুব কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ধস্তাধস্তি।
এদিকে বাম কর্মীদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন রাজ্য সভার সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আসেন কৌশিক সেন সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। এদিকে সূত্রের খবর আনিস খুনের প্রকৃত তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে আনিসের পরিবার