নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজো কালীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতে বাঙালির ১২ মাসের তেরো পার্বণের অন্যতম একটা পূজা ইতু পুজো। আর সেই ইতু পূজা কার্যত দুর্গা, কালীপূজোকে ছাড়িয়ে যায় হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ভগবতীপুর সংলগ্ন এলাকায়। জানা যায় এই অঞ্চলে ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি ইতু পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তা আবার থিমের চাকচিক্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই অঞ্চলে। প্রসঙ্গত কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে বাংলার ঘরে ঘরে নানান রকম ডাল, খাদ্য শস্য ও বিভিন্ন ধরনের গাছ দিয়ে মাটির সরায় করে আরাধনা শুরু হয় ইতু দেবীর। যে আরাধনা সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার ইতু দেবীর পূজার মধ্যে দিয়ে সূর্য দেবতার আরাধনায় মেতে উঠতো মানুষ। এদিকে বর্তমানে সকরাইল ব্লকের ভগবতীপুর এলাকায় দুর্গা রূপেই পূজা করা হবে ইতু দেবীকে। আর শুক্রবার ভগবতীপুরের উদয় কালি সংঘের ইতু পূজার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
যে পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে পুজোর শুভ উদ্বোধন করেন সাঁকরাইল কেন্দ্রের বিধায়িকা প্রিয়া পাল। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সাঁকরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিন ভগবতীপুর উদয় কালী সংঘের পূজার ফিতে কেটে পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাঁকরাইল কেন্দ্রের বিধায়িকা মাননীয়া প্রিয়া পাল। পাশাপাশি এদিন তিনি ইতু দেবীর পায়ে নিবেদন করেন পুষ্প। পরে তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, কাত্তিক মাস থেকে যে পূজার সূচনা হয় তা পৌষ মাসে গিয়ে এই পূজার সমাপ্তের মধ্যে দিয়ে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ। পিঠে পুলির উৎসবের ও সূচনা হয় এই ইতু পূজা মধ্যে দিয়ে। পাশাপাশি তিনি বলেন ইতু পূজা এত বড় আকারের ভগবতীপুরে হয় তা মানুষ না দেখলে বিশ্বাসই করবে না। এখানকার কিন্তু পূজা দুর্গা, কালী সহ অন্যান্য পুজোকে হার মানায়। মানুষ এখানে সারারাত জেগে। ঠাকুর দেখে পাশাপাশি এই অঞ্চলে প্রতিটা বাড়িতে এই সময় আত্মীয়-স্বজনও এসে উপস্থিত হয়। কারণ ইতু পূজা এরম বিশাল চাকচিক্য যাকজমক তা অন্যান্য কোন অংশে দেখতে পাওয়া যায় না। পাশাপাশি এই পূজার আরো শ্রী বৃদ্ধি কামনা করেন তিনি। প্ৰসঙ্গত সাকরাইলে ভগবতীপুর উদয় কালি সংঘের পূজা, এবছর দশম বর্ষে পদার্পণ করল। আর এই দশম বর্ষে ভগবতীপুর উদয় কালী সংঘের মুণ্ডপ ভাবনায় উঠে এসেছে বুর্জ খলিফার আদলে তাদের মন্ডপ। যা দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্তের মানুষ।