BREAKING

Thursday, 17 November 2022

এখনো গ্রামে পৌঁছলনা বিদ্যুৎ পরিসেবা

নিজেস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বর্তমান সময়ে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের মতই দৈনন্দিন জীবনে আলো অর্থাৎ বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা অসীম। সেদিক গুরুত্ব রেখেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলির সরকারও। কিন্তু বর্তমানে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের অন্তর্গত আমতা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদনীর ভগবতীপাড়ার একাধিক পরিবারে পৌঁছায়নি এখনো বিদ্যুৎ পরিসেবা।

তাদের অভিযোগ ইলেকট্রিক অফিসে আবেদন করে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু আজো মেলেনি তাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা।  আমাদের দেশ তথা ভারতবর্ষ যখন ডিজিটাল ভারতবর্ষে পরিণত হতে চলেছে, শুধু পথে নয় ইতিমধ্যেই তার প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে পড়তে শুরু হয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থাকে যখন লুফে নিয়েছে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ। এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মূল বা যার উপর ভর করে রয়েছে তা হলো বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রে, যেমন যেকোনো সরকারী ব্যবস্থা বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে যেমন গ্রাম বা পাড়া থেকেই আবেদন করার সুযোগ মিলছে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাধ্যমে সেই সঙ্গে নিজের বাড়িতে থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমেও অনায়াসে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় বর্তমানে, তবে সেই সমস্ত কিছুই নির্ভর বিদ্যুৎ এ। যখন এই সুবিধা সর্বোত্তই মানুষ পাচ্ছেন। ঠিক তখনি সেই সুবিধা থেকে অনেক টাই বঞ্চিত হাওড়া আমতা চাঁদনী ভগবতীপাড়ার কয়েকটি পরিবার।

তাদের কথায়, কয়েক বছর হল ইলেকট্রিক দফতরে ইলেকট্রিক পরিষেবা পেতে আবেদন করে মেলেনি কানেকশন। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে তারপরেও কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর এভাবেই বছরের পর বছর অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করে দিন কাটছে তাদের। এ প্রসঙ্গে আমতা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান লালমোহন হাজরার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, দিনের পর দিন ইলেকট্রিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকাটা খুবই দুঃখজনক, তিনি জানান ওই এলাকার কিছু ব্যক্তি ইলেকট্রিক পরিষেবা পৌঁছে দিতে বাধা দিচ্ছেন তার ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান।