BREAKING

Tuesday, 22 February 2022

আনিস কাণ্ডে সাসপেন্ড তিন পুলিশ কর্মী


নিজেস্ব প্রতিবেদন, উলুবেড়িয়া: গত শুক্রবার দিন রাতে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ গ্রামের বাসিন্দা তথা কলকাতার আলিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খাঁনকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

যদিও আনিস হত্যায় প্রথম থেকেই পুলিশের নামে অভিযোগ করে আসছিলো আনিসের পরিবার। তবে সেই অভিযোগ মানতে চাইনি আমতা পুলিশ প্রশাসন। ফলে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে আমতার দক্ষিণ সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামে। কখনো পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। আবার আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজ্যের মন্ত্রী।

আর এর পরেই আনিস হত্যার তদন্তের জন্য সিট গঠনের কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সূত্রের খবর গতকাল সোমবার আনিসের বাড়িতে যায় সিটের একটি দল। এদিকে আনিসের খুনের তথ্য পেতে ঘটনাস্থল থেকে ড্যামি পুতুল ফেলে  দেখেন পুলিশ আধিকারীকরা। এদিকে আমতা কাণ্ডের জেরে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয় আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে এঘটনার জেরে সাসপেন্ড পুলিশ কর্মীদের মধ্য রয়েছে আমতা থানার এক এএসআই, এক কনস্টেবল ও হোমগার্ড। এদিকে আজ মঙ্গলবার আনিসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন জে এন ইউ এর ছাত্র নেতা উমর খালীদের বাবা তথা ওয়েল ফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি এসকিউআর ইলিয়াস সাহেব। সহ ওয়েল ফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিনিধি দল। তারা কথা বলেন, খুন হওয়া ছাত্র নেতা আনিসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

আর ওয়েল ফেয়ার পার্টির এদিনের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ওয়েলফেয়ার পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি মনসা সেন, রাজ্য সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ, জেলা সভাপতি শেখ সিরাজ আলী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

আর এই প্রসঙ্গেই ওয়েল ফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি আনিসের বাবাকে বলেন, আমরা আপনার পাশে আছি। যতদিন পর্যন্ত আনিসের মৃত্যুর জন্য দোষীদের শাস্তি না হয় তত দিন পর্যন্ত তারা তার পরিবারের পাশে থাকবে। পাশাপাশি তারা আনিসের পরিবারের হাতে তুলে দেয় আর্থিক সহায়তাও।

এদিকে আনিস কাণ্ডে তিন পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হওয়ার পরেই। আনিস হত্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন।